সেদিন আমাকে একজন জিজ্ঞেস করেন যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে সিরিয়ার মুসলিম ভাইবোনদের জন্য আমাদের কী করা উচিত?
আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী একটি প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেছিল। ‘সিরিয়ার জন্য কান্না’—লেখা প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার হাতে নিয়ে মেয়েরা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরসহ অন্যান্য কিছু স্থানে কয়েক ঘণ্টা ধরে দাঁড়িয়ে ছিল। খবরের কাগজে আসা ছবিতে দেখা যাচ্ছিল এদের প্রায় সবারই মুখে হাসি।
আমার উত্তর:
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
মূল প্রশ্ন এটা নয় যে, অন্য মুসলিমদের পাশে দাঁড়ানো আপনার উচিত কি না। কেননা আল্লাহ যেখানে আপনাকে মুসলিমদের পাশে দাঁড়াতে নির্দেশ দিয়েছেন সেখানে এ প্রশ্ন একেবারেই অবান্তর। বরং প্রশ্ন হচ্ছে, আমরা কীভাবে মুসলিমদের পাশে দাঁড়াব?
আপনি যদি সত্যিই তাদের পাশে দাঁড়াতে চান তাহলে প্রথমেই আপনাকে নিচের বিষয়গুলো সম্বন্ধে পরিষ্কারভাবে জেনে নিতে হবে:
১. কী ধরনের সহযোগিতা তাদের প্রয়োজন?
২. আপনি কি তা সরাসরি করতে পারবেন?
৩. যদি পারেন তাহলে কীভাবে?
৪. আপনি কি অন্যদের এ জন্য উদ্বুদ্ধ করতে পারবেন?
৫. যদি পারেন তাহলে কীভাবে?
৬. সবকিছুর আগে আপনি কি আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেছেন—যাঁর সঙ্গে আপনার সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে; একমাত্র যিনি সব পরিস্থিতি বদলে দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন।
৭. ব্যানার নিয়ে যারা দাঁড়িয়েছেন তাদের কয়জন গতরাতে তাহাজ্জুদের সালাতে দাঁড়িয়ে তাদের প্রভুর কাছে কেঁদে কেঁদে দু‘আ করেছেন?
এসব প্রতীকী প্রতিবাদে আসলে কিছুই বদলায় না। ইরাক যুদ্ধের বিরুদ্ধে দশ হাজার লোকের লন্ডন অভিমুখী পদযাত্রা কী পরিবর্তন নিয়ে এসেছিল? ফিলিস্তিনে জঘন্য নৃশংসতার বিরুদ্ধে এসব ব্যানার আর পদযাত্রা কী পরিবর্তন নিয়ে এসেছে? এগুলো যদি ইরাক, ফিলিস্তিনে কোনো কাজে না লাগে তাহলে সিরিয়া-পরিস্থিতি বদলানোর জন্য কী কাজে আসবে? আমি আপনাদের হতাশার কারণটা বুঝতে পারছি, কারণ আমিও তা অনুভব করি।
বাস্তবতা হচ্ছে আজকাল মুসলিমদের বিশ্বাস খুবই ঠুনকো। আল্লাহর সঙ্গে তাদের অধিকাংশের কোনো সম্পর্কই নেই বলতে গেলে। তাই তারা সবকিছুরই কেবল পার্থিব সমাধান খোঁজে।
পার্থিব সমাধান খোঁজা ঠিক নয়—আমি এমনটা বলছি না। তবে নিছক পার্থিব সমাধান খোঁজা অনেকটা এনজিনবিহীন গাড়ি চালানোর মতো। এই এঞ্জিন হচ্ছে ‘তা’আল্লুক় মা’আল্লাহ’ বা আল্লাহর সাথে সম্পর্ক। এটা ছাড়া পার্থিব সমাধান কেবল ক্ষণকালীন গন্তব্যহীন যাত্রা বৈ কিছুই নয়।
আল্লাহ সাথে আপনার সম্পর্ক মজবুত হলে ১-৫ নম্বর প্রশ্নগুলোর ভিত্তিতে পার্থিব সমাধানের দিকে এগিয়ে যান। যৌক্তিক উপায়ে নিয়মতান্ত্রিকভাবে উপযুক্ত জ্ঞানের ভিত্তিতে এগিয়ে যেতে হবে আপনাকে। কেবল আবেগ দিয়ে হবে না। শুধু আবেগ বিবেককে নিয়ন্ত্রনহীন করে ফেলে। এ কারণে অধিকাংশ মুসলিমরাই সদিচ্ছা নিয়ে এগিয়ে গেলেও শেষ পর্যন্ত এমন কিছু করে ফেলে যেটা সমস্যা সমাধানের বদলে তা আরও বাড়িয়ে দেয়।
প্রতীকী প্রতিবাদ কেবল প্রতীকরূপেই থেকে যায়। এতে কখনোই কোনো ফল আসে না। এসব প্রতীকী কাজকর্ম উল্টো আপনাকে অর্জনের একটা মিথ্যে তৃপ্তি যোগায়; যা আপনাকে আপনার সঠিক দায়িত্ব পালনের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি থেকে আরও দূরে সরিয়ে নেয়। তাদের জিজ্ঞেস করুন, ‘এসব প্রতিবাদ করে রোদে গায়ের রং পোড়ানো ছাড়া আর কী অর্জন করলেন?’ কী উত্তর দেবে তারা? তাছাড়া এসব ছবি ও প্রচারণা আপনার ইখলাসকে শুধু খর্বই নয়, অনেক ক্ষেত্রে পুরোপুরি নষ্ট করে দেয়। তাদের জিজ্ঞেস করুন, ‘ওখানে যারা দাঁড়িয়ে ছিল তাদের কতজন দাঁড়ানো অবস্থায় আল্লাহর যিক্র করছিল?’
প্রতিদিন কত অন্যায়-অবিচার ঘটে যাচ্ছে। মুসলিম অমুসলিম নির্বিশেষে সকলের সাথেই। কতজন মুসলিম এগুলোর ব্যাপারে প্রতিবাদ করেছেন? ইসলাম তো শুধু মুসলিমদের উপর করা জুলুমের বিরুদ্ধেই নয়; বরং সকল অন্যায়-অত্যাচার-অবিচারের বিপক্ষে। নিজ শহরের দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের জন্য কতজন মুসলিম অর্থের জোগাড় করছেন?
লন্ডনের কিংবা অন্য যেকোনো শহরের যেকোনো ধর্মের গৃহহীন মানুষগুলো একমুঠো খাবার কিংবা মাথা গোঁজার ঠাঁইয়ের জন্য কোথায় যায়? গির্জায় না মাসজিদে? কতগুলো গির্জাকে আপনি দেখেছেন তাদের কাজের ফিরিস্তি লিখে ব্যানার টানিয়ে শহরজুরে দেখিয়ে বেড়াচ্ছে? এমন আরও অনেক কিছুই বলতে পারি, কিন্তু আর কথা বাড়াচ্ছি না। আশা করছি আপনারা ব্যাপারটা বুঝতে পেরেছেন।
আমরা একটা একটা ধরে ধরে কোনো অন্যায়ের প্রতিরোধ করতে পারব না। আমাদের অবস্থান যদি সত্যিই অন্যায়-অত্যাচারের বিরুদ্ধে হয়, তাহলে সেই অবস্থান পৃথিবীর সব অন্যায়-অত্যাচারের বিরুদ্ধেই হতে হবে। এবং আমাদের সেটা দেখাতেও হবে: দুনিয়াকে নয়, আল্লাহকে। আর কেবল তখনই আমাদের দু‘আর ফলাফল পাওয়া যাবে।
আমাদের সমস্যা হচ্ছে, আমরা সবকিছুকেই মিডিয়া ইভেন্ট বানিয়ে ফেলেছি। এমনকি আমাদের সালাহ আর দু‘আকেও। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলায়হি রাজিঊন।
যেটা করা আমাদের প্রয়োজন সেটা হচ্ছে আল্লাহর সামনে দাঁড়িয়ে কায়মনোবাক্যে তাঁর কাছে সাহায্য চাওয়া। কোনো মিডিয়া কভারেজের দরকার নেই।
কোনো ইভেন্ট নয়, আমাদের প্রয়োজন এমন কিছু মানুষের যারা আল্লাহকে জানেন। যাদের কণ্ঠ চেনে ফেরেশতারা। যাদের যিক্র সুপরিচিত তাঁদের কাছে যারা থাকেন আর্শের পাশে।
আজকের দিনে মিডিয়া হচ্ছে মুসলিমদের জীবনের অভিশাপ। এটা আজ পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণের বাইরে। যেন কুকুর তার মনিবকে চালাচ্ছে। গোটা সমাজ আজ মিডিয়ার দাসে পরিণত হয়েছে। এর প্রচারণার প্রতি ভয়ানকভাবে আসক্ত হয়ে পড়েছে। টিউন না হলে রেডিওতে যে-শন শন শব্দ হয়, সেই শব্দকে তারা ভুল করে সংযোগ হিসেবে নেওয়া শুরু করেছে।
আপনার ইখলাস যে আজ শঙ্কার মুখে, খ্যাতি তারই সতর্কবার্তা। অতীতে বহুবার আমি একথা বলে এসেছি।
আসুন আমরা খ্যাতিকে যথাসম্ভব এড়িয়ে চলি। আমরা তাঁর সাথে কথা বলতে শিখি, কোনো কিছু জানার জন্য যাঁর টিভি পর্দার প্রয়োজন হয় না।
মুসলিমদের আজ বাস্তববাদী হওয়ার সময় এসেছে। আল্লাহর সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলুন। এরপর যেভাবে কাজ করলে কাজটা ফলপ্রসূ হবে সেভাবে কাজ করুন। এমন কোনো ফাঁকা আওয়াজ তুলবেন না আপনার প্রতিপক্ষ যার কোনো পাত্তাই দেয় না।
والسّلام
মির্জা ইয়াওয়ার বেইগ।
অনুবাদ সম্পাদনা: আহমদ রফিক
আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী একটি প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেছিল। ‘সিরিয়ার জন্য কান্না’—লেখা প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার হাতে নিয়ে মেয়েরা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরসহ অন্যান্য কিছু স্থানে কয়েক ঘণ্টা ধরে দাঁড়িয়ে ছিল। খবরের কাগজে আসা ছবিতে দেখা যাচ্ছিল এদের প্রায় সবারই মুখে হাসি।
আমার উত্তর:
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
মূল প্রশ্ন এটা নয় যে, অন্য মুসলিমদের পাশে দাঁড়ানো আপনার উচিত কি না। কেননা আল্লাহ যেখানে আপনাকে মুসলিমদের পাশে দাঁড়াতে নির্দেশ দিয়েছেন সেখানে এ প্রশ্ন একেবারেই অবান্তর। বরং প্রশ্ন হচ্ছে, আমরা কীভাবে মুসলিমদের পাশে দাঁড়াব?
আপনি যদি সত্যিই তাদের পাশে দাঁড়াতে চান তাহলে প্রথমেই আপনাকে নিচের বিষয়গুলো সম্বন্ধে পরিষ্কারভাবে জেনে নিতে হবে:
১. কী ধরনের সহযোগিতা তাদের প্রয়োজন?
২. আপনি কি তা সরাসরি করতে পারবেন?
৩. যদি পারেন তাহলে কীভাবে?
৪. আপনি কি অন্যদের এ জন্য উদ্বুদ্ধ করতে পারবেন?
৫. যদি পারেন তাহলে কীভাবে?
৬. সবকিছুর আগে আপনি কি আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেছেন—যাঁর সঙ্গে আপনার সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে; একমাত্র যিনি সব পরিস্থিতি বদলে দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন।
৭. ব্যানার নিয়ে যারা দাঁড়িয়েছেন তাদের কয়জন গতরাতে তাহাজ্জুদের সালাতে দাঁড়িয়ে তাদের প্রভুর কাছে কেঁদে কেঁদে দু‘আ করেছেন?
এসব প্রতীকী প্রতিবাদে আসলে কিছুই বদলায় না। ইরাক যুদ্ধের বিরুদ্ধে দশ হাজার লোকের লন্ডন অভিমুখী পদযাত্রা কী পরিবর্তন নিয়ে এসেছিল? ফিলিস্তিনে জঘন্য নৃশংসতার বিরুদ্ধে এসব ব্যানার আর পদযাত্রা কী পরিবর্তন নিয়ে এসেছে? এগুলো যদি ইরাক, ফিলিস্তিনে কোনো কাজে না লাগে তাহলে সিরিয়া-পরিস্থিতি বদলানোর জন্য কী কাজে আসবে? আমি আপনাদের হতাশার কারণটা বুঝতে পারছি, কারণ আমিও তা অনুভব করি।
বাস্তবতা হচ্ছে আজকাল মুসলিমদের বিশ্বাস খুবই ঠুনকো। আল্লাহর সঙ্গে তাদের অধিকাংশের কোনো সম্পর্কই নেই বলতে গেলে। তাই তারা সবকিছুরই কেবল পার্থিব সমাধান খোঁজে।
পার্থিব সমাধান খোঁজা ঠিক নয়—আমি এমনটা বলছি না। তবে নিছক পার্থিব সমাধান খোঁজা অনেকটা এনজিনবিহীন গাড়ি চালানোর মতো। এই এঞ্জিন হচ্ছে ‘তা’আল্লুক় মা’আল্লাহ’ বা আল্লাহর সাথে সম্পর্ক। এটা ছাড়া পার্থিব সমাধান কেবল ক্ষণকালীন গন্তব্যহীন যাত্রা বৈ কিছুই নয়।
আল্লাহ সাথে আপনার সম্পর্ক মজবুত হলে ১-৫ নম্বর প্রশ্নগুলোর ভিত্তিতে পার্থিব সমাধানের দিকে এগিয়ে যান। যৌক্তিক উপায়ে নিয়মতান্ত্রিকভাবে উপযুক্ত জ্ঞানের ভিত্তিতে এগিয়ে যেতে হবে আপনাকে। কেবল আবেগ দিয়ে হবে না। শুধু আবেগ বিবেককে নিয়ন্ত্রনহীন করে ফেলে। এ কারণে অধিকাংশ মুসলিমরাই সদিচ্ছা নিয়ে এগিয়ে গেলেও শেষ পর্যন্ত এমন কিছু করে ফেলে যেটা সমস্যা সমাধানের বদলে তা আরও বাড়িয়ে দেয়।
প্রতীকী প্রতিবাদ কেবল প্রতীকরূপেই থেকে যায়। এতে কখনোই কোনো ফল আসে না। এসব প্রতীকী কাজকর্ম উল্টো আপনাকে অর্জনের একটা মিথ্যে তৃপ্তি যোগায়; যা আপনাকে আপনার সঠিক দায়িত্ব পালনের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি থেকে আরও দূরে সরিয়ে নেয়। তাদের জিজ্ঞেস করুন, ‘এসব প্রতিবাদ করে রোদে গায়ের রং পোড়ানো ছাড়া আর কী অর্জন করলেন?’ কী উত্তর দেবে তারা? তাছাড়া এসব ছবি ও প্রচারণা আপনার ইখলাসকে শুধু খর্বই নয়, অনেক ক্ষেত্রে পুরোপুরি নষ্ট করে দেয়। তাদের জিজ্ঞেস করুন, ‘ওখানে যারা দাঁড়িয়ে ছিল তাদের কতজন দাঁড়ানো অবস্থায় আল্লাহর যিক্র করছিল?’
প্রতিদিন কত অন্যায়-অবিচার ঘটে যাচ্ছে। মুসলিম অমুসলিম নির্বিশেষে সকলের সাথেই। কতজন মুসলিম এগুলোর ব্যাপারে প্রতিবাদ করেছেন? ইসলাম তো শুধু মুসলিমদের উপর করা জুলুমের বিরুদ্ধেই নয়; বরং সকল অন্যায়-অত্যাচার-অবিচারের বিপক্ষে। নিজ শহরের দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের জন্য কতজন মুসলিম অর্থের জোগাড় করছেন?
লন্ডনের কিংবা অন্য যেকোনো শহরের যেকোনো ধর্মের গৃহহীন মানুষগুলো একমুঠো খাবার কিংবা মাথা গোঁজার ঠাঁইয়ের জন্য কোথায় যায়? গির্জায় না মাসজিদে? কতগুলো গির্জাকে আপনি দেখেছেন তাদের কাজের ফিরিস্তি লিখে ব্যানার টানিয়ে শহরজুরে দেখিয়ে বেড়াচ্ছে? এমন আরও অনেক কিছুই বলতে পারি, কিন্তু আর কথা বাড়াচ্ছি না। আশা করছি আপনারা ব্যাপারটা বুঝতে পেরেছেন।
আমরা একটা একটা ধরে ধরে কোনো অন্যায়ের প্রতিরোধ করতে পারব না। আমাদের অবস্থান যদি সত্যিই অন্যায়-অত্যাচারের বিরুদ্ধে হয়, তাহলে সেই অবস্থান পৃথিবীর সব অন্যায়-অত্যাচারের বিরুদ্ধেই হতে হবে। এবং আমাদের সেটা দেখাতেও হবে: দুনিয়াকে নয়, আল্লাহকে। আর কেবল তখনই আমাদের দু‘আর ফলাফল পাওয়া যাবে।
আমাদের সমস্যা হচ্ছে, আমরা সবকিছুকেই মিডিয়া ইভেন্ট বানিয়ে ফেলেছি। এমনকি আমাদের সালাহ আর দু‘আকেও। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলায়হি রাজিঊন।
যেটা করা আমাদের প্রয়োজন সেটা হচ্ছে আল্লাহর সামনে দাঁড়িয়ে কায়মনোবাক্যে তাঁর কাছে সাহায্য চাওয়া। কোনো মিডিয়া কভারেজের দরকার নেই।
কোনো ইভেন্ট নয়, আমাদের প্রয়োজন এমন কিছু মানুষের যারা আল্লাহকে জানেন। যাদের কণ্ঠ চেনে ফেরেশতারা। যাদের যিক্র সুপরিচিত তাঁদের কাছে যারা থাকেন আর্শের পাশে।
আজকের দিনে মিডিয়া হচ্ছে মুসলিমদের জীবনের অভিশাপ। এটা আজ পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণের বাইরে। যেন কুকুর তার মনিবকে চালাচ্ছে। গোটা সমাজ আজ মিডিয়ার দাসে পরিণত হয়েছে। এর প্রচারণার প্রতি ভয়ানকভাবে আসক্ত হয়ে পড়েছে। টিউন না হলে রেডিওতে যে-শন শন শব্দ হয়, সেই শব্দকে তারা ভুল করে সংযোগ হিসেবে নেওয়া শুরু করেছে।
আপনার ইখলাস যে আজ শঙ্কার মুখে, খ্যাতি তারই সতর্কবার্তা। অতীতে বহুবার আমি একথা বলে এসেছি।
আসুন আমরা খ্যাতিকে যথাসম্ভব এড়িয়ে চলি। আমরা তাঁর সাথে কথা বলতে শিখি, কোনো কিছু জানার জন্য যাঁর টিভি পর্দার প্রয়োজন হয় না।
মুসলিমদের আজ বাস্তববাদী হওয়ার সময় এসেছে। আল্লাহর সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলুন। এরপর যেভাবে কাজ করলে কাজটা ফলপ্রসূ হবে সেভাবে কাজ করুন। এমন কোনো ফাঁকা আওয়াজ তুলবেন না আপনার প্রতিপক্ষ যার কোনো পাত্তাই দেয় না।
والسّلام
মির্জা ইয়াওয়ার বেইগ।
অনুবাদ সম্পাদনা: আহমদ রফিক
No comments:
Post a Comment
আপনার সুচিন্তিত ও গঠনমূলক মতামতের জন্য ধন্যবাদ।