28 January 2015

ঘুমিয়ে নেই খালেদা জিয়ারা; ঘুমিয়ে আছি আমরা

টেলিভিশনের সঙ্গে আমার দূরাত্মীয়মূলক সম্পর্ক চলছে গত প্রায় এক বছর ধরে। প্রচারমাধ্যমের পরিকল্পিত প্রোপাগান্ডা এবং নৈতিকতা ও মূল্যবোধহীন অনুষ্ঠান (অধিকাংশক্ষেত্রে) প্রচার দিনকে দিন টেলিভিশনের প্রতি আমার অনীহা বাড়িয়ে তুলছে। তবে বাসায় টিভি সেট থাকায় ইচ্ছে না-থাকা সত্ত্বে মাঝেমধ্যে চোখ চলে যায়, কানে বেজে ওঠে বিভিন্ন খবরাখবর। তেমনই কিছু খবর ব্রেকিং নিউজ হিসেবে টিভি পর্দার নিচে এসে আমার চোখকে টেনে ধরেছিল। প্রথম খবরটা ছিল এরকম যে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গুলশানে খালেদা জিয়ার বাড়িতে যাচ্ছেন সমবেদনা জানাতে। দ্বিতীয় খবরটা ছিল খালেদা জিয়াকে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়েছে আর গেট না-খোলায় প্রধানমন্ত্রীর প্রস্থান। এরপর ঘটে গেছে আরও অনেক খবর; একের পর এক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া হিসেবে।

19 January 2015

প্রেসক্রিপশন

প্রসব-পরবর্তী চিকিৎসা হিসেবে অন্যান্য বেশ কিছু ওষুধের সঙ্গে ডাক্তার আমার স্ত্রীকে দুটো এন্টিবায়োটিক ওষুধ দিয়েছেন। একটা আট ঘণ্টা পরপর, আরেকটা ছয় ঘণ্টা পরপর খেতে হচ্ছে। আমরা ঠিক নিয়ম করেই ওষুধগুলো তাকে খাওয়াচ্ছি। এন্টিবায়োটিক ওষুধগুলো একটা নির্দিষ্ট সময় পরপর না-খাওয়ালে কিছু সমস্যা হয়। একারণে আমরা এব্যাপারে বেশ সতর্ক। যেহেতু ব্যাপারটা চিকিৎসা-সংক্রান্ত সেহেতু ডাক্তারের নির্দেশই এব্যাপারে শিরোধার্য। কারণ, অসুখ-বিসুখ রোগব্যাধির ব্যাপারে তারাই সবচেয়ে ভালো জানবেন। তাই কোনো ধরনের তর্ক-বিতর্ক, প্রশ্ন না করেই আমরা বিনা দ্বিধায় চিকিৎসা-সংক্রান্ত ব্যাপারে ডাক্তারের আদেশ বাধ্য সন্তানের মতো পালন করে যাই।

মজার ব্যাপার হচ্ছে শারীরিক অসুখের ব্যাপারে মানুষ যতটা নিয়মানুবর্তী, আধ্যাত্মিক ব্যাপারে তারা ঠিক ততটাই উদাসীন। মানুষের মনেরও যে চিকিৎসা প্রয়োজন, ওষুধ প্রয়োজন এবং যেক্ষেত্রে অবজ্ঞা পরকালীন অনন্ত জীবনে মানুষকে জাহান্নামের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাবে সে ব্যাপারে অধিকাংশ মানুষই বেখেয়াল।

07 January 2015

নিজ নরকে

“পাপ তো ঘোচাতেই হবে: হয় এই দুনিয়ায় অনুতাপের আগুনে পুড়িয়ে, নয়তো পরকালে জাহান্নামের আগুনে জ্বলিয়ে।” —ইব্‌ন আল-কায়্যিম

প্রতিদিনকার জীবনে বিশ্বের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা মুসলিম তরুণদের বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার সঙ্গে লড়াই করে চলতে হয়। আমাদের বিশ্বাসের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এমন বহু সামাজিক, পারিবারিক কিংবা সাংস্কৃতিক প্রচারণা, আদর্শের সাথে বেঁচে থাকার সংগ্রাম করতে হয় অবিরত। অহংকার, লালসা, লোভ, বিয়েবহির্ভূত সম্পর্ক, মদ/নেশা, নারীদের প্রতি বিদ্বেষ ইত্যাদিতে ছেয়ে আছে গোটা বিশ্ব।

এগুলো ছাড়াও আরও নানান ধরনের অনৈসলামিক সামাজিক প্রথা ও সংস্কারের মাঝে ডুবে আছি আমরা। বর্ণবাদ, জোরপূর্বক বিয়ে, নারীদের শিক্ষা থেকে বঞ্চিত করা, বংশপ্রীতি—এ ধরনের অনেক কিছুই চলছে বিভিন্ন মুসলিম সমাজে।