30 March 2016

মতভেদ করছেন নাকি ক্যাচাল?


ফেসবুক, ব্লগ, ওয়েবসাইট—অনলাইনে ক্যাচাল করার সবচেয়ে জনপ্রিয় তিন মাধ্যম। কারও কোনো কথা পছন্দ হলো না, অমনি শুরু হয়ে গেল। কারও কোনো যুক্তি নিজের আবেগ-বিশ্বাসে হানা দিল, শুরু হলো পাল্টা হামলা। কারও প্রমাণ নিজের পূর্বধারণার পরিপন্থী, ব্যাস শুরু হলো ক্যাচাল।

অনলাইনে নিজের মত প্রকাশের সহজতার কারণে আজকাল চায়ের দোকান থেকে ক্যাচাল জায়গা করে নিয়েছে কিবোর্ডে। অথচ একটু সতর্ক হলে, মাথাটা ঠান্ডা রাখলে, যৌক্তিক উপায়ে আগালে এই ক্যাচালই উন্নীত হতে পারে পারস্পরিক শ্রদ্ধাপূর্ণ মতপার্থক্যে। মানুষ সাধারণত কীভাবে ক্যাচাল করে সে ব্যাপারে প্রোগ্রামার, লেখক পল গ্রাহাম (পিএইচডি) তাঁর ওয়েবসাইটে একটি প্রবন্ধ লিখেছেন। সেখানে তিনি মতপার্থক্যের সাতটি ধরন উল্লেখ করেছেন। এগুলোর প্রথম তিনটি ধরন নির্ঘাত ক্যাচালের আওতায় পড়বে। পরের দুটোকে “ভিন্নমত” হিসেবে ধরা যায়। আর বাকি দুটোকে আমার মতে শ্রদ্ধাপূর্ণ মতপার্থক্যের মধ্যে ফেলা যায়।

21 March 2016

কীভাবে নিজের অনুবাদকে সাবলীল করবেন

আজকে সকালের দিকে একটা স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম। সেখানে জিজ্ঞেস করেছিলাম অনুবাদ করতে যেয়ে আমরা কেন আড়ষ্ট হয়ে যাই, কেন আমাদের মৌলিক লেখা সাবলীল ও সহজবোধ্য হলেও, অনুবাদে গুগল ট্রান্সলেটরের ভূত ভর করে?


যে-মন্তব্যগুলো পেলাম, সেগুলোর মূল সুর হচ্ছে: মূলকে ধরে রাখার চেষ্টা। মূল লেখার সঙ্গে প্রতারণা না-করা। নিজের কোনো মন্তব্য না-ঢোকানো। আর এগুলোর ফলাফল প্রায় রোবটিক অনুবাদ বা গুগল ট্রান্সলেশন।

এই পোস্টে আমি চেষ্টা করব, অনুবাদকদের কিছু মিথ ভাঙার। এবং কীভাবে সাবলীল অনুবাদ করা যায় সে ব্যাপারে আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা এবং অধ্যয়ন ভাগাভাগি করার।

17 March 2016

আমি তো নবি না, আমাকে দিয়ে ওসব হবে না

আমরা যখন অনেক মুসলিমদের ইসলামের বিভিন্ন বিধির কথা বলি, তারা বলে বসেন, "আরেহ, তিনি তো ছিলেন নবি, আমরা তো আর নবি না, আমাদের দিয়ে কী ওসব হবে।”

এ ধরর জবাবের সমস্যা দুটো।

১. হীনমন্যতা। এটা শুধু ইসলামি বিধির ক্ষেত্রে না, অন্যান্য অনেক ক্ষেত্রেও হতে পারে। যেমন কারও সামনে যদি আইনস্টাইনের উদাহরণ তুলে ধরা হয়, তাহলে হয়তো তিনি বলবেন, "আমি কি আর আইনস্টাইন?"

উঠতি কোনো খেলোয়াড়কে যদি সাকিব আল-হাসানের উদাহরণ দেওয়া হয়, তিনি হয়তো বলবেন, "আমি কি আর সাকিব?"