দা'ওয়াহ শব্দের পারিভাষিক অর্থ নির্দিষ্ট কোনো বিশ্বাসের দিকে ডাকা। এটা হতে পারে সত্য কিংবা আল্লাহর পথে, অথবা মিথ্যা কিংবা বাতিল উপাস্যদের দিকে।
ইসলামি আইনের দৃষ্টিকোণ থেকে মানুষকে আল্লাহর দিকে ডাকা ফার্দ কিফায়াহ। অর্থাৎ কোনো সম্প্রদায় বা জাতির মধ্যে যদি একদল লোক দা'ওয়াহ দেয়, তাহলে বাকিদের উপর আর এর আবশ্যিকতা থাকে না। তবে বর্তমানে মুসলিম উম্মাহর করুণ দশার দিকে তাকালে একথা স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে, প্রত্যককেই তার নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী অন্যকে ইসলামের দিকে ডাকা কর্তব্য।
দা'ওয়াহর মাধ্যমে একজন মানুষ ব্যক্তিগতভাবে যে কল্যাণ লাভ করতে পারে তা হচ্ছে, যদি তার ডাকে একজন লোকও সাড়া দেয়, তাহলে সেই লোক যত ভালো কাজ করবে আহ্বানকারীও তার পুরস্কার পাবে। সাড়াদানকারী ব্যক্তি যদি অন্যদের দা'ওয়াহ দেন, এবং অন্যরা গ্রহণ করে, তাহলেও প্রথম আহ্বানকারী ব্যক্তি সাওয়াব পাবে। এভাবে চক্রবৃদ্ধি হারে সাওয়াব বাড়তে থাকবে। এবং মৃত্যুর পরও তা জারি থাকবে ইনশা'আল্লাহ।
দা'ওয়াহ দেওয়ার অন্যান্য উপকারিতার মধ্যে রয়েছে: এটা কোনো জাতির উপর থেকে দুর্যোগ দূর করে। সত্য তথা আল্লাহর একত্বকে স্পষ্ট করে। মিথ্যা তথা বাতিল উপাস্যদের সম্পর্কে মানুষকে সজাগ করে।
একজন আহ্বানকারীর অন্যতম যে দুটো গুণ থাকা প্রয়োজন তা হচ্ছে ধৈর্য ও সহিষ্ণুতা। কারণ মানুষকে একবার জানালেই সে হয়তো ফিরবে না। হারাম থেকে দূরে থাকতে বললে দূরে থাকবে না। এসব ক্ষেত্রে আহ্বানকারীকে ধৈর্য ধরে দা'ওয়াহর কাজ চালিয়ে যেতে হবে।
এছাড়া অমুসলিম কিংবা ভিন্নমতালম্বী নামধারী মুসলিমদের আহ্বান করতে গেলে অনেক সময় অনেক বিরূপ ও ইসলামের সঙ্গে সাংঘর্ষিক মতবাদের সম্মুখীন হতে হবে। এসব ক্ষেত্রে আমাদের সহিষ্ণু হতে হবে। উত্তম পন্থায় এদের মোকাবিলা করতে হবে।
কেবল বই বা প্রবন্ধ পড়ে এসব গুণাবলি অর্জন হয় না। এগুলোর জন্য প্রয়োজন নিমত চর্চা। এভাবেই এগুলো একসময় নিজের অঙ্গীভূত হয়ে যাবে।
মন্দ বা সমাজে প্রচলিত বিভিন্ন খারাপ বা অনৈসলামিক কাজকে প্রতিহত করাও এক ধরনের দা'ওয়াহ। কেউ যদি ক্ষমতাশীল হন, তাহলে তার ক্ষমতা খাটিয়ে সেই মন্দ প্রতিহত করতে হবে। যেমন: সরকার প্রধান, পরিবারের কর্তা বা অফিসের বস। তবে এক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে কাজটা যেন জোরাজোরি করে না হয়। ক্ষমতা খাটানোর সঙ্গে সঙ্গে যদি ইসলামের বিধিটা বা ইসলাম কেন না করল সেটা ভালোভাবে বলে বোঝানো যায়, তাহলে সেটা হবে উত্তম।
কারও যদি ক্ষমতা না থাকে সেক্ষেত্রে তিনি মুখে প্রতিবাদ জানাতে পারেন। ভালো লিখতে পারলে সামাজিক যোগাযোগের সাইটে বা ব্লগে লিখেও প্রতিবাদ জানানো যায়। সেটুকুও না পারলে অন্তত অন্তর থেকে ঘৃণা করতে হবে। যদিও শেষোক্ত প্রতিবাদের ধরন শক্তিশালী ঈমানের লক্ষণ নয়।
সর্বোপরি দা'ওয়াহ দেওয়ার ক্ষেত্রে যে জিনিসটা সবসময় মাথায় রাখতে হবে, সেটা হচ্ছে, কাউকে বদলানো আমার হাতে নেই। এটা আল্লাহর হাতে। আমাদের কাজ মানুষকে সঠিক কথাটি পৌঁছে দেওয়া। এ কথাটি মাথায় রাখলে কেউ যদি আমাদের ডাকে সাড়া না দেয় তাহলে আশাহত হওয়া থেকে আমরা নিজেদের বাঁচাতে পারব।
আসুন আমরা আমাদের জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে কাজে লাগাই। সুযোগ পেলেই মানুষকে আহ্বান করি। কোনো অবস্থাতেই হাল ছেড়ে না দিই। একমাত্র আল্লাহই সঠিক পথের সন্ধানদাতা।
ইসলামি আইনের দৃষ্টিকোণ থেকে মানুষকে আল্লাহর দিকে ডাকা ফার্দ কিফায়াহ। অর্থাৎ কোনো সম্প্রদায় বা জাতির মধ্যে যদি একদল লোক দা'ওয়াহ দেয়, তাহলে বাকিদের উপর আর এর আবশ্যিকতা থাকে না। তবে বর্তমানে মুসলিম উম্মাহর করুণ দশার দিকে তাকালে একথা স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে, প্রত্যককেই তার নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী অন্যকে ইসলামের দিকে ডাকা কর্তব্য।
দা'ওয়াহর মাধ্যমে একজন মানুষ ব্যক্তিগতভাবে যে কল্যাণ লাভ করতে পারে তা হচ্ছে, যদি তার ডাকে একজন লোকও সাড়া দেয়, তাহলে সেই লোক যত ভালো কাজ করবে আহ্বানকারীও তার পুরস্কার পাবে। সাড়াদানকারী ব্যক্তি যদি অন্যদের দা'ওয়াহ দেন, এবং অন্যরা গ্রহণ করে, তাহলেও প্রথম আহ্বানকারী ব্যক্তি সাওয়াব পাবে। এভাবে চক্রবৃদ্ধি হারে সাওয়াব বাড়তে থাকবে। এবং মৃত্যুর পরও তা জারি থাকবে ইনশা'আল্লাহ।
দা'ওয়াহ দেওয়ার অন্যান্য উপকারিতার মধ্যে রয়েছে: এটা কোনো জাতির উপর থেকে দুর্যোগ দূর করে। সত্য তথা আল্লাহর একত্বকে স্পষ্ট করে। মিথ্যা তথা বাতিল উপাস্যদের সম্পর্কে মানুষকে সজাগ করে।
একজন আহ্বানকারীর অন্যতম যে দুটো গুণ থাকা প্রয়োজন তা হচ্ছে ধৈর্য ও সহিষ্ণুতা। কারণ মানুষকে একবার জানালেই সে হয়তো ফিরবে না। হারাম থেকে দূরে থাকতে বললে দূরে থাকবে না। এসব ক্ষেত্রে আহ্বানকারীকে ধৈর্য ধরে দা'ওয়াহর কাজ চালিয়ে যেতে হবে।
এছাড়া অমুসলিম কিংবা ভিন্নমতালম্বী নামধারী মুসলিমদের আহ্বান করতে গেলে অনেক সময় অনেক বিরূপ ও ইসলামের সঙ্গে সাংঘর্ষিক মতবাদের সম্মুখীন হতে হবে। এসব ক্ষেত্রে আমাদের সহিষ্ণু হতে হবে। উত্তম পন্থায় এদের মোকাবিলা করতে হবে।
কেবল বই বা প্রবন্ধ পড়ে এসব গুণাবলি অর্জন হয় না। এগুলোর জন্য প্রয়োজন নিমত চর্চা। এভাবেই এগুলো একসময় নিজের অঙ্গীভূত হয়ে যাবে।
মন্দ বা সমাজে প্রচলিত বিভিন্ন খারাপ বা অনৈসলামিক কাজকে প্রতিহত করাও এক ধরনের দা'ওয়াহ। কেউ যদি ক্ষমতাশীল হন, তাহলে তার ক্ষমতা খাটিয়ে সেই মন্দ প্রতিহত করতে হবে। যেমন: সরকার প্রধান, পরিবারের কর্তা বা অফিসের বস। তবে এক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে কাজটা যেন জোরাজোরি করে না হয়। ক্ষমতা খাটানোর সঙ্গে সঙ্গে যদি ইসলামের বিধিটা বা ইসলাম কেন না করল সেটা ভালোভাবে বলে বোঝানো যায়, তাহলে সেটা হবে উত্তম।
কারও যদি ক্ষমতা না থাকে সেক্ষেত্রে তিনি মুখে প্রতিবাদ জানাতে পারেন। ভালো লিখতে পারলে সামাজিক যোগাযোগের সাইটে বা ব্লগে লিখেও প্রতিবাদ জানানো যায়। সেটুকুও না পারলে অন্তত অন্তর থেকে ঘৃণা করতে হবে। যদিও শেষোক্ত প্রতিবাদের ধরন শক্তিশালী ঈমানের লক্ষণ নয়।
সর্বোপরি দা'ওয়াহ দেওয়ার ক্ষেত্রে যে জিনিসটা সবসময় মাথায় রাখতে হবে, সেটা হচ্ছে, কাউকে বদলানো আমার হাতে নেই। এটা আল্লাহর হাতে। আমাদের কাজ মানুষকে সঠিক কথাটি পৌঁছে দেওয়া। এ কথাটি মাথায় রাখলে কেউ যদি আমাদের ডাকে সাড়া না দেয় তাহলে আশাহত হওয়া থেকে আমরা নিজেদের বাঁচাতে পারব।
আসুন আমরা আমাদের জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে কাজে লাগাই। সুযোগ পেলেই মানুষকে আহ্বান করি। কোনো অবস্থাতেই হাল ছেড়ে না দিই। একমাত্র আল্লাহই সঠিক পথের সন্ধানদাতা।
No comments:
Post a Comment
আপনার সুচিন্তিত ও গঠনমূলক মতামতের জন্য ধন্যবাদ।