ফেসবুক, ব্লগ, ওয়েবসাইট—অনলাইনে ক্যাচাল করার সবচেয়ে জনপ্রিয় তিন মাধ্যম। কারও কোনো কথা পছন্দ হলো না, অমনি শুরু হয়ে গেল। কারও কোনো যুক্তি নিজের আবেগ-বিশ্বাসে হানা দিল, শুরু হলো পাল্টা হামলা। কারও প্রমাণ নিজের পূর্বধারণার পরিপন্থী, ব্যাস শুরু হলো ক্যাচাল।
অনলাইনে নিজের মত প্রকাশের সহজতার কারণে আজকাল চায়ের দোকান থেকে ক্যাচাল জায়গা করে নিয়েছে কিবোর্ডে। অথচ একটু সতর্ক হলে, মাথাটা ঠান্ডা রাখলে, যৌক্তিক উপায়ে আগালে এই ক্যাচালই উন্নীত হতে পারে পারস্পরিক শ্রদ্ধাপূর্ণ মতপার্থক্যে। মানুষ সাধারণত কীভাবে ক্যাচাল করে সে ব্যাপারে প্রোগ্রামার, লেখক পল গ্রাহাম (পিএইচডি) তাঁর ওয়েবসাইটে একটি প্রবন্ধ লিখেছেন। সেখানে তিনি মতপার্থক্যের সাতটি ধরন উল্লেখ করেছেন। এগুলোর প্রথম তিনটি ধরন নির্ঘাত ক্যাচালের আওতায় পড়বে। পরের দুটোকে “ভিন্নমত” হিসেবে ধরা যায়। আর বাকি দুটোকে আমার মতে শ্রদ্ধাপূর্ণ মতপার্থক্যের মধ্যে ফেলা যায়।